অনুসন্ধান    

Logo

 

এসো দেশ গড়ি এর প্রকল্প সমূহ

অপরাজিতা-নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।

প্রকল্প পরিচিতি

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় “ইউনিয়ন পরিষদ” এ দেশের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে অত্যন্ত প্রাচীন একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্ত এ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানটিতে নারীর প্রতিনিধিত্বের ইতিহাস বেশি দিনের নয়। ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিধান করা হয়। সংরক্ষিত আসনের বিধান অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলিতেও কার্যকর করা হয়। যা নারীর রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের এক উল্লেখযোগ্য  অধ্যায়।

কিন্ত বাস্তবে আমরা দেখতে পাচি্ছ এখনও নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিগণ তাদের কর্মক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়ন পায় না। আবার নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার জন্য যে ধরনের জ্ঞান, দক্ষতা ও সচেতনতা থাকায় কথা সেটাও অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেই। ফলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী প্রতিনিধিরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অপরাজিতা প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিগণ এবং যারা বিগত সময়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিল/ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ভবিষ্যতে করবে তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে দক্ষতা বৃদ্ধি, নেতৃতের গুণাবলী সৃষ্টি, স্থানীয় সেবাখাত সমূহের সেবার মান বৃদ্ধি করণে ভুমিকা পালন, স্থাণীয় সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ, স্থানীয় সেবা খাতসমুহের নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানামূখী কার্যক্রম পরিচালনা করা। সর্বোপরি নারীর ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নারী প্রতিনিধিদের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো। প্রকল্পটি একদিকে স্থানীয় সরকারের শক্তিশালী করনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের নারী প্রতিনিধিদের  সক্রিয় অংশগ্রহনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, কৃষি উন্নয়ন, স্থানীয় বিরোধ মিমাংসা, বাল্য বিবাহ হ্রাস ইত্যাদি কাজগুলো বাস্তাবায়নে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে। 

 

বাংলাদেশের নারীরা আজ আর আগের মতো শুধু ঘরকন্না নিয়েই ব্যস্ত থাকছেন না। বর্তমানে নারীরা শুধু শিক্ষায ও কর্মক্ষেত্রেই নয় রাজনীতিতেও সাফল্যের সাথে অংশ নিচ্ছে। কিন্ত বাস্তবিক অর্থে আমাদের দেশে নারীর সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন  সেই মাত্রায় হয়নি, গুণগত এবং পরিমাণগতভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। নারীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ তাই সত্যিকারভাবেই দেশের স্বার্থে তেমন কোনো ভুমিকা ‍রাখতে পারছে না। অপরাজিতা প্রকল্পটি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

  • নির্বাচিত নারী জনপ্রতিনিধিদের সাংবিধানিক জ্ঞান বৃদ্ধি।
  • তাদের দায়িত্ব ওি কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশিদারিত্ব বাড়াতে প্রশিক্ষণ।
  • সেবামূলক কাজগুলো চিহ্নিত করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা।
  • সাংবিধানিক অধিকার, স্থানীয় সরকারের আইনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা। গ্রাম্য আদালত ও সালিশে তাদের অংশগ্র্রহণ বাড়ানো ও সিদ্ধান্ত নেয়ায় ভূমিকা রাখা। স্থানীয় সরকারের নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও শক্তিশালি করা।
  • নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তার সমাধানের জন্য স্থাণীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এই প্রকল্প কাজ করছে।

 

এ্যাডোলিসসেন্ট’স লাইভলিহুড অপরচুনিটিস্ (আলো)

আলো প্রকল্পে লক্ষভূক্ত জনগোষ্টী হলো  ১৫-৩০ বছরের যুবা নারী ও পুরুষ। যাদের মাধ্যমে প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এলাকার মানুষ পরিবেশের প্রতি না তাকিয়ে বিশাল জনগোষ্টীর খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য কম জমিতে বেশী ফলনের আশায় মাত্রাতিরিক্ত পরিমান রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং বিভিন্ন প্রকার আধুনিক  কলা—কৌশল প্রয়োগ করে উৎপাদন করছে হাইব্রিড  জাতের ফসল। এর ফলে দেখা দিয়েছে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ( মাটি, পানি, বায়ু) দুষণ। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবরতনের দ্রুততা। যে কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যা, খরা ও  সাইক্লোনের মত দূর্যোগসমুহ। যার প্রভাব পড়ছে গরীব ও হত দরিদ্র কৃষকদের উপর। জলবায়ু পরিবরতনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে পরিবেশকে রক্ষার জন্য জৈব পদ্ধতিতে জৈব সার ও জৈব কীটনাশক প্রস্তুত ও ব্যবহার করে যুবা নারী ও যুবা পুরুষ কৃষকদেরকে বসতবাড়ীতে দেশী জাতের সবজী চাষে ও বীজ সংগ্রহে এবং দেশীয় জাতের গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পুরণে উদ্ধুদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের পারিবারিক আয় বৃদ্ধির জন্য মূলতঃ এই প্রকল্প বাস্তবfয়িত হচ্ছে।

উদ্দেশ্যঃ

  • পরিবার ও সমাজে বীজের সরবরাহ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা।
  • জলবায়ু বৈচিত্রতায় ও বিরুপতায় ও জমির শস্য উৎপাদন ও বায়োমাস উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
  • নির্বাচিত জনসমষ্টিতে/পরিবারে পরিবেশ বান্ধবকৃষি ভিত্তিক আয় বাড়ানো।
  • খাদ্য উৎপাদনে নিরাপত্তায় নারীর জ্ঞান, অগ্রাধিকার ও নেতৃত্বের প্রভাব বৃদ্ধি করা।
  • নীতিগত আলোচনার ইসু¨ সৃষ্টির জন্য অভিজ্ঞতা ও ভাল অনুশীলনগুলি সংরক্ষণ ও এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যে প্রচার করা।
  • পরিবার ও সমাজে বীজের সরবরাহ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা।

প্রকল্প এলাকাঃ

জেলা

উপজেলা

ইউনিয়ন

গ্রাম

পাড়ার সংখ্যা

কুড়িগ্রাম

উলিপুর

হাতিয়া

  1. হাতিয়া ভবেশ
  2. অনন্তপুর
  3. রামরামপুর
  4. হিজলীগোপ

 

    16টি

 

প্রকল্পের মেয়াদঃ

v     মে-২০১০ হইতে এপ্রিল-২০১৫ পর্যন্ত।

 

মোট লক্ষিতজনগোষ্ঠিঃ

v    ৪৫০ টি পরিবার (যে পরিবারে ১৫-৩০ বছরের কৃষাণ কৃষাণী আছে)

 

মূল কৌশল/প্রক্রিয়াঃ

v     বর্তমান কিশোরী-সভাকেন্দ্র্রিক ও আশপাশের গ্রামকে কেন্দ্র করে কাজ করা:

v     যুবা ও কিশোরীদের ক্ষমতায়নের জন্য তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা (যাতে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কৃষিতে তারা মূখ্য ভুমিকা নিতে পারে)

v     “জন নেতৃত্বমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়া” সৃষ্টিতে উদ্যোগী হওয়া (যাতে কৃষকগণ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় নেতৃত্ব দিতেপাভে এর মধ্যে থাকতে ছেলে, মেয়ে, নারী পুরুষ যারা প্রকল্প পরিকল্পনায়, বাস্তবায়নে পরীবীক্ষণ ও মূল্যায়নে যুক্ত থাকবে।

v     জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সুযোগ সৃষ্টি করা (কৃষি পরিবেশ তথ্যকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, কৃষক যুবা দল ও সহ-সাথী শিখন, পরিবেশ, বীজ মেলা, কৃষক সমাবেশ ইত্যাদি মাধ্যমে)

v     বাজার উন্নয়ন প্রক্রিয়া (জনগণ ও বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে যারা যুক্ত তাদের মধ্যে সমন্বয় করার মাধ্যমে)।

v     বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় ও সহয়োগিতা বৃদ্ধি (সরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, কৃষক সম্প্রদায়, সামাজিক সংগঠন ইত্যাদি মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা)।

 

বিষয় সমূহঃ

v     বীজ নিরাপত্তা ও বৈচিত্র্যতা।

v     জলবায়ু পরিবর্তনের প্রশমন ও সংযুক্তিকরণ ব্যবস্থা।

v     প্রামীণ অর্থনীতি।

v     জেন্ডার সমতা।

 

প্রত্যাশিত ফলাফল/মূল সুচকসমূহঃ

  • বীজ ও চারা সমৃদ্ধ জনসমষ্টি।
  • ঋতুভিত্তিক বীজের চাহিদা পূরণে পরিবারগুলো সক্ষম হবে।
  • পরিবার ভিত্তিক বীজের গুণগত, সংখ্যা/পরিমানগত এবং বৈচিত্র্যতার উন্নয়ন হবে।
  • বীজের প্রজাতের ও প্রজাতের মধ্যে জাতের সার্বিক উন্নয়ন হবে।
  • জলবায়ু বৈত্রিতায় ও বিরুপতায় ও জমির শস্য উৎপাদন ও বায়োমাস উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
  • কৃষি জমির সক্ষতমা ও উৎপাদন ও বৈচিত্র্যতা বৃদ্ধি হবে (পানি সঞ্চালন, বায়োমাস উৎপাদন, শস্য ফলন বৃদ্ধি পাবে)।
  • পরিবার কেন্দ্রিক কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৈচিত্র্যাতা থাকবে (খাদ্য শস্য, জ্বালানী, কাঠ, ঔষধি কাজ ইত্যাদি)
  • শস্য কাটার পরবর্তী প্রক্রিয়া বা রুপান্তরের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।
  • নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
  • এ প্রকল্পে নারী অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
  • উৎপাদনে সহায়ক বিভিন্ন উপাদানে নারী অভিগম্যতা বৃদ্ধি পাবে (জমি, শ্রম, উপকরণ, ঋণ, বীজ)।
  • নীতিগত আলোচনার ইস্যু সৃষ্টির জন্য অভিজ্ঞতা ও ভাল অনুশীলনগুলো সংরক্ষণ ও এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রচার করা হবে।
  • প্রকল্প বিষয়ক তথ্য, শিক্ষনীয় বিষয়সমূহ সংগ্রহ ও প্রচার করা হবে।

প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহঃ

  • বীজ নিরাপত্তা ও বৈচিত্রতা ( কৃষক পর্যায়ে দেশী জাতের বীজ সংগ্রহ, সংরক্ষণ , ব্যবহার ও উৎপাদন, এলাকায় বীজ ব্যাংক স্থাপন)
  • জলবায়ু পরিবরতন অভিযোজন (বৃক্ষ রোপন, মডেল ডাইভারসিটি প্লানটেশন বাড়ী, ভার্মিকম্পোষ্ট উৎপাদন ও ব্যবহার,কুইক কম্পোষ্ট তৈরী ও ব্যবহার, জৈব ভিটামিন তৈরী ও ব্যবহার, বায়ো-পেস্টিসাইড তৈরী ও ব্যবহার, বসতবাড়ীতে সবজী বাগান তৈরী)
  • গ্রামীণ আরথসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ( জৈব পদ্ধতিতে শাকসবজী উৎপাদন, পরিবেশ ও বীজমেলা , আয়মুলক কাজের প্রশিক্ষণ , জৈব শাকসবজী বিক্রয়ের জন্য মার্কেট কর্ণার, জিও এনজিও কর্মশালা)
  • নারী সমতা ( পরিবেশ বান্ধব ও জেন্ডার বিষয়ক নাটক, বিদ্যালয় ভিত্তিক সবজী বাগান , কম্যূনিটিতে জেন্ডার সমতা সৃষ্টি)

 

চলমান প্রকল্প সমূহ

সমাপ্ত প্রকল্প সমূহ

আসন্ন প্রকল্প সমূহ


 

মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ
জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম ।

মোঃ মিনহাজুল ইসলাম
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সাবিক ), কুড়িগ্রাম ।

NGO সমূহ